নারীর একাধিক পুরুষ বন্ধু থাকলে তাকে চরিত্রহীন বলা যায়’

প্রকাশঃ Jul 5, 2025 - 17:15
নারীর একাধিক পুরুষ বন্ধু থাকলে তাকে চরিত্রহীন বলা যায়’

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। বয়স ৫০-এর গণ্ডি পেরুলেও এখনও নায়িকার চরিত্রেই দেখা মেলে তার। সম্প্রতি ‘ম্যাডাম সেনগুপ্ত’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা। এতে রাহুল বোসের সঙ্গে ফের জুটি বেঁধেছেন। সায়ন্তন ঘোষাল নির্মিত সিনেমাটি ৪ জুলাই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে।সিনেমাটির নাম পড়ে ধারণা হতে পারে—এটি ঋতুপর্ণার বায়োপিক; আদতে তা নয়। এটি থ্রিলার ঘরানার সিনেমা। সিনেমাটিতে কার্টুনিস্ট রঞ্জনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বলিউড অভিনেতা রাহুল বোস। 

অন্যদিকে অনুরেখা সেনগুপ্তর চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা। গল্পে রাহুল বোস ও বিবাহিত ঋতুপর্ণার বন্ধুত্বের সীমকরণ উঠে এসেছে।সিনেমার গল্প বন্ধুত্ব নিয়ে। ফলে ঋতুপর্ণার কাছে জানতে চাওয়া হয়, বিবাহিত নারী-পুরুষের মাঝে বন্ধুত্ব হয় কি না? জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “সমাজ এখনো নারী-পুরুষের বন্ধুত্ব স্বীকার করতে চায় না।” পেশাগত জায়গার উদাহরণ টেনে অভিনেত্রী বলেন, “আমাদের যে ধরনের কাজ, তাতে আমরা অনেক বেশি পুরুষের বৃত্তের মধ্যে থেকে কাজ করি। টেকনিশিয়ান, চিত্রগ্রাহকদের মধ্যে এখনো পুরুষের সংখ্যাই বেশি। আমার অনেক সম্পাদক পুরুষ বন্ধু আছে। আসলে বন্ধুত্বের কোনো লিঙ্গ হয় না।” এসময় সমাজের উদাহরণ টেনে ঋতুপর্ণা বলেন, “একজন নারীর একাধিক পুরুষ বন্ধু থাকলে অনায়াসে তাকে চরিত্রহীন বলে দেওয়া যায়। অন্যদিকে, একজন পুরুষের একাধিক নারী বন্ধু থাকলে সেটাকে গৌরবান্বিত করা হয়। সমাজ বদলায়নি। কোনো অভিনেত্রী অনেক সিনেমা করলে ধরেই নেওয়া হয়, পরিচালক বা প্রযোজকের সঙ্গে সেই নারীর বিশেষ সম্পর্ক আছে। প্রত্যেক নারী ও পুরুষের বন্ধুত্বেই শারীরিক সম্পর্ক থাকবে, এমনটা মনে করি না।”