বিএনপি কখনো চাঁদাবাজি ও দখলদারত্বকে প্রশ্রয় দেয় না: আমিনুল হক

মাফিজুল ইসলাম বন্ধন
বিএনপির ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, বিএনপি কখনো অন্যায়, চাঁদাবাজি, বিশৃঙ্খলা বা দখলদারত্বকে প্রশ্রয় দেয় না। কোনো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এলে প্রথমে আইনগত ও পরে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বুধবার (২ জুলাই) রাজধানীর শাহআলী ও হাতিরঝিল থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সদস্য ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।আমিনুল হক বলেন, ইনশাআল্লাহ আগামী ফেব্রুয়ারিতেই দেশে জাতীয় নির্বাচন হবে এবং সেই নির্বাচনের মাধ্যমেই বিএনপি জনগণের ভোটে একটি জবাবদিহিমূলক সরকার গঠন করতে চায়। বিএনপি বিশ্বাস করে, দেশের সকল ক্ষমতার উৎস সাধারণ মানুষ। তাই আমাদের সাধারণ মানুষের কাছে যেতে হবে, তাদের মতামত নিতে হবে এবং সেই পথেই আগামীর মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
আলোচনায় আমিনুল হক ১৭ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাস স্মরণ করে বলেন, গত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগের দোসররা বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর চরম দমন-পীড়ন চালিয়েছে। একদিনের জন্যও শান্তিতে থাকতে দেয়নি। এই ইতিহাস আমাদের মনে রাখতে হবে। সদস্য নবায়নের বিষয়ে কড়া সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যারা আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসর, যারা দিনে বিএনপি আর রাতে আওয়ামী লীগ করেছে—তাদের সদস্য পদ নবায়ন করা যাবে না। যারা বিএনপির নাম ব্যবহার করে সুবিধা নিয়েছে বা ব্যবসা করেছে স্বৈরাচারের সঙ্গে—তাদের সদস্যপদও নবায়ন হবে না। সত্যিকারের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীরাই সদস্যপদে অগ্রাধিকার পাবেন। যারা আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ছিল, তারাই দলের আসল সম্পদ।
আমিনুল হক ফরম আদায়কারীদের দিকেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসরদের যদি কোনো আদায়কারীর স্বাক্ষরে সদস্যপদ নবায়ন হয়, তাহলে সেই আদায়কারীর বিরুদ্ধেই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা আওয়ামী লীগের মতো স্বৈরাচার নই। বিএনপির রাজনীতি জনগণের জন্য, উন্নয়নের জন্য, অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।
এছাড়া হাতিরঝিল থানা বিএনপির আহ্বায়ক নাজমুল হক মাসুম ও শাহআলী থানা বিএনপির আহ্বায়ক এস এম কায়সার পাপ্পুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সিনিয়র সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত), গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ ও মুহাম্মদ আফাজ উদ্দিন।