লক্ষ্মীপুরে জমে উঠেছে পশুর হাট, গতবারের চেয়ে দাম কম

Jun 3, 2025 - 11:52
লক্ষ্মীপুরে জমে উঠেছে পশুর হাট, গতবারের চেয়ে দাম কম

জেলায় জমে উঠেছে কুরবানির পশুর হাট। প্রতিটি হাটে বিপুল সংখ্যক গরু উঠেছে। বড় গরুর চেয়ে মাঝারি ও ছোট পশুর চাহিদা বেশি। তবে প্রকারভেদে গরুর দাম গতবারের চেয়ে কিছুটা হওয়ায় সন্তুষ্ট ক্রেতা ও বিক্রেতারা।প্রাণি সম্পদ বিভাগ বলছে, পশুর কোন ঘাটতি নেই। চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত পশু রয়েছে ৫০ হাজারের বেশি। এছাড়া প্রতিটি বাজারে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যেদের পাশাপাশি প্রাণি সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা বাজার মনিটরিং করছে। যেন সবাই নিবিঘ্নে নিরাপদে কেনা-বেচা করতে পারে। সে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।প্রাণি সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুরে ৫টি উপজেলায় শতাধিক স্থায়ী-অস্থায়ী পশুরহাট রয়েছে। এর বাহিরে গ্রামগঞ্জে বসেছে প্রচুর হাট। ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতিতে অনেক বেশি। সবাই নিজের প্রছন্দের পশু কিনতে ভিড় করছেন হাটে। পাশাপাশি ছোট-বড় মিলে প্রায় তিন হাজার খামার রয়েছে। এসব খামারে ১লাখ ৩৯ হাজার পশু কুারবানির জন্য লালন-পালন করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গত বছরে যে পশুটি বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এবার সে পশু বিক্রি হচ্ছে প্রায় লাখ টাকা। এভাবে প্রকার ভেদে প্রতিটি গরু ২০/২৫ হাজার টাকায় কম বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম কিছুটা কম হওয়ায় স্বস্তির কথা বলছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। প্রতিটি হাটে পশু বেচা-কেনা করার জন্য নানা প্রদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। 

ব্যবসায়ীরা জানান, গত বারের তুলনায় প্রতি গরু ২০/২৫ হাজার টাকা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। সারা বছর গরু লালন-পালন করেছি কুরবানিতে কিছুটা লাভের আশায়। তবে এইভাবে সামনে দাম থাকলে লাভ হবে ও লোকসানের মুখে পড়তে হবেনা। এছাড়া ভারতীয় গরু না আসলে দেশীয় গরুর দাম ভালো পাওয়া যাবে বলে আশা খামারীদের। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বাজারের অবস্থায় খুবই খারাপ যাচ্ছে। যদি এইভাবে বৃষ্টি থাকে,তাহলে বড় ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে বলে আশংকা করেন ব্যবসায়ীরা।বাজারে প্রচুর পরিমান পশু রয়েছে। প্রছন্দের পশু কিনতে পেরে খুশি অনেকেই। আবার অনেকেই বাজারের ব্যবস্থাপনা নিয়েও সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন।প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. কুমুদ রঞ্জন মিত্র বলেন.পশুর কোন ঘাটতি নেই,পর্যাপ্ত পরিমান কুরবানির পশু মজুদ রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি বাজারে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যেদের পাশাপাশি প্রাণি সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা বাজার মনিটরিং করছে। যেন সবাই নিরাপদে কেনা-বেচা করতে পারে। সে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। চাহিদার তুলনায় ৫০ হাজার পশু বেশি রয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার আকতার হোসেন বলেন, জেলার ৫টি উপজেলায় যেসব স্থানে পশুর হাট বসেছে। প্রত্যেকটি হাটে পোশাকে ও সাদা পোশাকে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা  রয়েছেন। জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন, মানুষ যেন ঈদুল আজহা সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পারে, সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেকটি হাটে জাল টাকার ছড়াছড়ি যেন না হয়, সেদিকে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারী রয়েছে। পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণআদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাজার মনিটরিং করছে।